বিসিএস দিয়ে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কেন কূটনীতি, পুলিশ ও প্রশাসনে যোগ দিল তা নিয়ে চিল্লা-চিল্লি করা ভাই-বোনেরা এইবার ক্ষান্ত দেন যদি প্রকৃতই দেশকে ভালোবাসেন। বরং সেই সকল ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারকে ধন্যবাদ দেন ঐ সকল পেশায় যোগ দেবার জন্য।
অনেকেই কষ্ট পাবে তার পরেও বলি এতদিন ঐ সকল পেশায় যারা যোগ দিয়েছিল তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ডিগ্রীটা বিষয়ে খোজ নেন। দেখবেন তাদের বিরাট একটা সংখ্যক যে বিষয়ে অনার্স ডিগ্রী অর্জন করেছে সেই বিষয় গুলোতে ভর্তি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় সবার শেষে অবস্থান করে এবং অনেক ক্ষেত্রে অপেক্ষমাণ তালিকা হতে। অর্থাৎ শিক্ষা জীবনে তাদের বিশাল একটা অংশ কখনই সর্বোচ্চ মেধাবী ছিলও না। বিপরীত-ক্রমে সর্বশেষ ৩৮ তম কিংবা সাম্প্রতিক কালের বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে কূটনীতি, পুলিশ ও প্রশাসনে যারা যোগ দিচ্ছে তাদের বিশাল একটা অংশ নিজেদের শিক্ষা জীবনেই সর্বোচ্চ মেধার সাক্ষর রেখে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন ও প্রচন্ড পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের শিক্ষা জীবন শেষ করেছেন। নিজের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এমন অনেক বিষয় আছে যার ছাত্র-ছাত্রীরা বিষয় প্রতি ৮ টা প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করে পরীক্ষার হলে যান ও সেখান থেকে ৫ টি প্রশ্নের উত্তর করেন। কোন ৮ টা প্রশ্ন পড়তে হবে তা ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস শুরু দিনেই জেনে যান সিনিয়রদের সাথে কথা বলে। আমি হলফ করে বলতে পারি পুরো বাংলাদেশের সবচে নিম্নমানে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা দেওয়া হয় যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেই ছাত্র-ছাত্রীরা সারা বছর ৮ টা প্রশ্ন পড়ে ডিগ্রী অর্জন করা ছাত্র-ছাত্রী অপেক্ষা অধিক মেধাবী ও দেশের মানুষকে সেবা প্রদান করার যোগ্যতা রাখে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মেডিকেল কলেজের কথা বাদই দিলাম, সরকারি ১০০ এর অধিক মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিমাণ ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাজুয়েট তৈরি হচ্ছে তাতে করে ৩০০ জন ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বিসিএস দিয়ে কূটনীতি, পুলিশ ও প্রশাসনে যোগ দিলে দেশের সামান্যতম ক্ষতি হবে না বরং দেশের ভালো হবার সম্ভাবনা শতকরা ৯৯ ভাগ।
#collected.