দেশব্যাপী আন্ডরওয়ার্ল্ডের অর্থনীতির কর্মকান্ড (ক্যাসিনো, মদ, জুয়া, পতিতাবৃত্তি, অবৈধ টেন্ডার বন্টন) নিয়ন্ত্রণে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জাানিয়েছে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ। চলমান অভিযানকে ইতিবাচক ও জনমনে সরকারের ভাবমুর্তিকে উজ্জল করছে। ক্রীড়াঙ্গনে মদ, জুয়া, অবৈধ টেন্ডার, ব্যবসা-বানিজ্য বন্টনের মতো দূর্নীতির বিস্তার, ক্লাবগুলির আর্থিক সংস্থানের জন্য জুয়ার আসর বসানোর বিষয়গুলির বিস্তার পুরো ক্রীড়াঙ্গনের ভাবমুর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ‘কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’ মর্মে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যেই দিয়ে মূলত সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, অনিয়ম দূর ও জবাবদিহিতার গুরুত্বকে দেশবাসীকে আশ্বান্বিত করেছে। ইতোপূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতার’ ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং সম্প্রতি দলীয় পরিচয় ও পদের অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর ও দৃঢ অবস্থান জনগনের সে আস্থা ও বিশ্বাসকে আরও সুপ্রদৃঢ করেছে এবং জাতি একটি কঠিন ক্রান্তিকাল থেকে রেহাই পাবে বলে মতপ্রকাশ করেন।
আন্ডরওয়ার্ল্ডের অর্থনীতির কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রেক্ষিতে যে লোমহর্ষক চিত্র বের হয়ে আসছে, তা দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ও অনিয়মের ভয়াবহ চিত্র মাত্র। মূলত রাজনৈতিক মদদে ও রাজনৈতিক পরিচয়ে আন্ডার ওয়ার্ল্ডে অর্থনীতি কর্মকান্ড অনিয়ম, দুর্নীতির শেকড় নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এর পরিনাম আরও দেশের অর্থনীতি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভয়াবহ ও সুদর প্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পুরো জাতিকে গ্রাস করবে। নিজ দলের নেতা-কর্মীদের এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর পদক্ষেপ জাতিকে ত্রাণ কর্তা হিসাবে উদ্ধারে সহায়ক হবে মত প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন ক্রীড়াঙ্গনে অসাধু ব্যবসায়ীদের অধিক অনুপ্রবেশ, অনিয়ম, জুয়া ও টেন্ডার বন্টনসহ যে ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে তা দেশে সুশাসন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দেশে ন্যায্য ব্যবসা বানিজ্যে বিস্তারে বড় প্রতিবন্ধক বলে মত প্রকাশ করে বলা হয়েছে অনিয়ম ও অপকর্ম করতে একটা শ্রেণী রাজনৈতিক ক্ষমতাকে বারবার ব্যবহার করছে, প্রশাসন অনেক জায়গায় নিরব দর্শক ছিলেন এবং রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় ও ক্ষমতার অবস্থানকে পুঁজি করে জনস্বার্থের বিষয়গুলি জলাঞ্জলি দিয়ে নিজেদের সম্পদ তৈরীতে রাজনীতিকে লাইসেন্সকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। আর এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে স্বাভাবিক রাজনৈতিক চর্চা বাঁধাগ্রস্থ হবে, ন্যায্য ব্যবসার পরিবেশ, সুশাসন, জবাবদিহিতা হুমকির মুখে পড়বে এবং দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার দেশের সিন্ডিকেটের প্রসার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সাম্প্রতিক অভিযানের ফলে যে উদ্বেগজনক চিত্র ফুেট উঠেছে, তা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কিছু কিছু মিডিয়াতে এ ঘটনাগুলি প্রকাশিত হলেও সংস্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেয়ায় এগুলো মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করেছে। চলমান এ অভিযানের ব্যাপ্তি ও প্রসার অন্যান্য খাত এবং পর্যায়ে বিস্তৃত করলেও একই চিত্র পাওয়া যাবে। তাই, সরকারী বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে কঠিন দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা প্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেশাগত শুদ্ধাচার, নিরপেক্ষতা ও উৎকর্ষতা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দল নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত করে ঢেলে সাজানোর মত প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নাগরিক পরীবিক্ষনের আওতায় এনে জবাবদিহিতা নিশ্চিতে তৃণমূলসহ সকল পর্যায়ে নাগরিক অংশগ্রহন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।
Sadia Mehjabin
4 Read Blog posts