লেখা পড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে। প্রবাদ বাক্যটির মর্মার্থানুযায়ী, লেখা পড়া করলে ধনী ও সামর্থবান হওয়া যায়, গাড়ি-ঘোড়া, যানবাহন বা বিলাস বসন উপভোগ করা যায়। অঢেল সম্পদের মালিক ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানরা জন্ম থেকেই গাড়ি ঘোড়া চড়ছে। তাদের তো এসবের প্রয়োজন নেই, তা হলে তারা কেন লেখা পড়া করবে?
লেখা পড়া কেবল গাড়ি ঘোড়ার মালিক হওয়া বা গাড়ি-ঘোড়ায় চড়ার জন্যই করে না। এর পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকে। গাড়ি-ঘোড়া তো অতি সামান্য বিষয়; এর চেয়েও বড় ও মহৎ কোন উদ্দেশ্য আছে, থাকতে হবে।
উদ্দেশ্যটা খুবই স্পষ্ট। নিজেকে, নিজের উৎপত্তি, পরিচিতি, অবস্থান, গন্তব্য, লক্ষ্য ও তা অর্জনের পথ দেখা ও চেনা। যে পরিবেশ ও যে জগতে অবস্থান, তার ভেতর বাহিরের জানা না জানা সব চোরাগহ্বরগুলো, যা তার বা তাদের অবস্থানকে বিপদশংকুল করতে পারে, যা তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারে, তার গন্তব্য ভুলিয়ে দিতে ও লক্ষ্য থেকে সরিয়ে নিতে পারে সেগুলোকে কাদের আসল রুপ ও প্রকৃতিতে চিনতে চেনাতে ও চেনাতে, জানতে ও জানাতে পারে, সেটাই উদ্দেশ্য।
এ উদ্দেশ্যটা অর্জিত হলেই আরও বড় ও প্রধান উদ্দেশ্যটি অর্জিত হয়ে যায়। সেটা হলো আমি কার? আর কে আমার? কার সাথে আমার ক্ষণস্থায়ী সম্পর্ক, কার সাথেই বা অনন্তদিনের। এ সম্পর্কগুলোকে যে চিনতে পেরেছে, রক্ষা করতে পেরেছে, সেই প্রকৃত জ্ঞানী ও সফল।
মূল মাপকাঠি এটাই। এবারে আসুন আমার, আপনার ইয়া বড় বড় সার্টিফিকেটগুলো একবার মেপে দেখি এই মাপকাঠিতে। আর ইউ রেডি টু দ্যাট?

consulte Mais informação
image